আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে কি না মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে ফাইল দেখে মতামত দেওয়া হবে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনদিন ছুটি শেষে আজ অফিস খুলেছে। আমি যতটুকু জেনেছি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার পরে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে ফাইলটা রয়েছে। আমি অফিসে গিয়ে ফাইলটা দেখে আজকের মধ্যে মতামত দিয়ে শেষ করব।
সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা হলো আইনের অবস্থান। আমি মনে করি সেটা সঠিক। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে খালেদা জিয়ার আগে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করেছেন এবং শর্তযুক্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা এখন পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন। এখন এটা ওপেন করার কোনো উপায় নাই আইনগতভাবে। এটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। আইনের অবস্থানই সেটা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে করলে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়। নির্বাহী আদেশে বিদেশ গেলেও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সেই নির্বাহী আদেশ দিতে হবে। আইনের বাইরে কোনো নির্বাহী আদেশ হতে পারে না।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিঠি দেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাম্প্রতিক আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।