রাজধানীর মিরপুরে পোশাক শ্রমিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৫টি বাস, ২টি মার্কেট, একটি ব্যাংকের শাখা ও ২টি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। মিরপুর ১১ নম্বরে এদিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালীন সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাস্তায় নামে। পরবর্তীতে তিন পক্ষের মধ্যেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পিকেটিং চলে। এ সময় বেশ কয়েকজন পোশাককর্মী আহত হন। এরপরই পোশাককর্মীরা সড়কে অবস্থান নেন।
পোশাককর্মীদের অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল বলেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে প্রথমে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশও মাঠে নামে। শ্রমিকরা এখন রাস্তায় আছে, স্থানীয় এমপি আসছেন বিষয়টি সুরাহা করার জন্য।