স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ১০৫.২৫ টাকা, পেট্রোলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা এবং অকটেনের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সমন্বয়কৃত এ মূল্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া ডিজেল পেট্রোল ও অকটেন-জাতীয় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুর রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্বালানি উপদেষ্টা।
তিনি জানান, ‘আপনারা জানেন যে আমাদের এখানে যে জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয়, তার বেশিরভাগ হচ্ছে ডিজেল। ডিজেলচালিত বাহন হচ্ছে বেশি। তারপর হচ্ছে অকটেন, এরপর পেট্রল। আমরা ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, ১ টাকা ২৫ পয়সা পার লিটারে কমাচ্ছি। অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ১২৫ টাকা, মানে ৬ টাকা কমাচ্ছি। পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ১২১ টাকা, সেটাও ৬ টাকা কমাচ্ছি।’
অকটেন ও পেট্রলের দাম ৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম মাত্র ১.২৫ টাকা কমানোর কারণ প্রসঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন যে অকটেন-পেট্রল এগুলো বড়লোকেরা ব্যবহার করে। ওদেরটা ৬ টাকা কমালেন? এর কারণ হচ্ছে কী, এদের পরিমাণটা খুব কম। এটা কমালে এটার ইমপ্যাক্টটা কম হয়। ওখানে (ডিজেল) এক টাকা ২৫ পয়সা কমাতে আমাদের জান বের হয়ে গেছে। আমরা আরও চেষ্টা করবো। ভবিষ্যতে যদি জ্বালানি মূল্য স্থিতিশীল থাকে, আমরা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকিউরমেন্ট প্রাইস, এখন তো একটা প্রকিউরমেন্ট প্রাইস আছে, সেটা তো আমি পরিবর্তন করতে পারব না। একটা কনট্রাক্ট আছে। সেটার জন্য এতটুকু করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে আমাদের এটাকে আরও কমাতে পারি।’
বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে দেশেও কমানো হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে, সেটিও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বিপিসির মুনাফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।