Search
Close this search box.

দেশে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুসারে দেশে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৬৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৩ দশমিক শুন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৯২০ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন ডলার। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ এ তথ্য প্রকাশ করে। এটি গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিন শেষের হিসাব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হিসাবে, দুই হাজার ৯২০ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রিজার্ভ দিয়ে বেশি কয়েকটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে এ সব তহবিল গঠন করা হয়েছে। লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব খাতের মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে। এ অর্থ বাদ দেওয়ার পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৩ দশমিক শুন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

কোভিড-১৯ এর অভিঘাত পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। তৈরি হয় মূল্যস্ফীতি। এর চাপ পড়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় আমদানি ব্যয়। তৈরি হয় ডলার সংকট। এতে টান পড়ে রিজার্ভে। বাজারে ডলার পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় ডলার বিক্রি ও আমদানি মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহের ফলে কমতে থাকে এর পরিমাণ।

যেখানে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, একবছর পর ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এর পরিমাণ নেমে আসে ২৯ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন ডলারে। আর ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ নামে ২৩ দশমিক শুন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ