Search
Close this search box.

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়িতে কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। চতুর্থদিনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৬ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং নিহতদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ও আহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান।

ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, ‘নোটিশে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা রিট আবেদন করবো।’

এরআগে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল জানান, ‘পুরো ডিপো আমরা ঘুরে দেখেছি। আর কোনো মরদেহ পাইনি।’ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে সীতাকুন্ড থানার পুলিশ। সীতাকুন্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় দুর্ঘটনায় অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৪৪ জন, যার মধ্যে ১২ জন ফায়ার ফাইটার। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যুর তথ্য যদি বলি, তাহলে সেটা আমাদের হিসাবে ৪৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রয়েছেন। ৯৯ জন সাধারণ মানুষ গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। আহতের তালিকায় ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন রয়েছেন।’

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন। শুধু ফায়ার সার্ভিস পরিবারের সদস্য নয়, আমাদের জাতি অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা মূলত ৪ জুন রাত ৯টা ১৫ মিনিটে অগ্নিকান্ডের খবর পাই। খবর পাওয়ার পরপরই আমাদের নিকটস্থ কুমিরা ও সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তখন দুটি কনটেইনারের মধ্যে আগুন সীমাবদ্ধ ছিল। তারা সাধারণ আগুন মনে করে ফায়ার ফাইটিং করছিল।’

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপো কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দেয়নি যে কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডি বা দাহ্য পদার্থ আছে, যা যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। মালিকপক্ষের সহযোগিতার অভাবে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে কুমিরা ও সীতাকুন্ডের আমাদের জনবল, অফিসার এবং গাড়ি সবই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ