Search
Close this search box.

বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না : মোস্তাফা জব্বার

বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না : মোস্তাফা জব্বার

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।ঢাকায় বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এ বছর নগদ রকমারি বইমেলার বেস্ট সেলার এওয়ার্ড বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এখন ঢাকা । পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকরাও স্বীকার করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে। পৃথিবীর যে কোন ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলাভাষা লেখার কোন সীমাবদ্ধতাও এখন আর নেই।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর প্রায় সম্পন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে বলেন, প্রকাশকদের বড় সমস্যার নাম মার্কেটিং। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে সে সংকট আজ কেটে গেছে। তিনি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, এমন কোন পণ্য নেই যা ডিজিটাল প্লাটফর্মে বেঁচা-কেনা হচ্ছে না। গত কোরবানী‘র ঈদেও চার লাখ গবাদি-পশু বিক্রি হয়েছে যা অভাবনীয়।

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক বলেন, কাগজের যুগ শেষ, সামনের দিন হবে ডিজিটাল বইয়ের যুগ। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল বইয়ের প্রণেতা মোস্তাফা জব্বার বলেন, কাগজের বইকে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল করেছি। তিনি বলেন, পৃথিবী এখন ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল বইয়ের সংমিশ্রনের যুগ অতিক্রম করছে। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল বই প্রকাশে এগিয়ে আসতে প্রকাশকদের পরামর্শ দেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে তার গতিশীল নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর কাছে এক অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দেশ। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হয়েও কম্পিউটার বিষয়ে বই লেখা কিংবা ডিজিটাাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার প্রবর্তণ- সেটা চেষ্টার ফসল বলে উল্রেখ করেন।

দেশে ডেস্কটপ পাবলিশিংয়ের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডেস্কটপ পাবলিশিংয়ের আগে দেশে সীসার হরফ তার পর ফটো টাইপসেটার ছিল মূদ্রণ শিল্পের প্রযুক্তি। পৃথিবীতে প্রথম দেশ বাংলাদেশই ট্রেসিং পেপারে প্রকাশনার কাজ করেছে। এজন্য আমি একটি লেজার প্রিন্টার নষ্ট করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। এরই ফলে ৮ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে যেখানে ১২০জন মানুষের প্রয়োজন হতো সেখানে মাত্র ২০জন মানুষ ৮ পৃষ্ঠার পত্রিকা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের যে দেশের কাগজে প্রকাশিত বইয়ের শতভাগ আমার তৈরি অক্ষর দিয়ে ছাপা হয়। এর চেয়ে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।

রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ ড. মো: কায়কোবাদ, আগামী প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ওসমান গণি এবং নগদের সিইও সাফায়েত আলম বক্তৃতা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ