Search
Close this search box.

হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার : ‘নির্ভয়ে সত্য উচ্চারণ করার মতো সাহসী বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান হুমায়ুন আজাদ। তাকে বলা হয় স্রোতের প্রতিকূলে চলা সত্য ভাষ্যের এক অনন্য পথিক। আজ ভাষাবিজ্ঞানী ও খ্যাতিমান লেখক, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে জার্মানির মিউনিখ শহরে তিনি মারা যান।

হুমায়ুন আজাদের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের কামারগাঁয়ে নানা বাড়িতে। যেটি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত। তার জন্ম নাম ছিল হুমায়ুন কবীর।

১৯৬৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় হুমায়ুন আজাদের। সেখানে কিছুদিন থাকার পর ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে। একই বছরের ডিসেম্বরে তিনি ঢাকায় ফিরে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে।

হুমায়ুন আজাদের রাজনৈতিক লেখালেখি ও বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার সূচনা হয় আশির দশকেই। মূলত আশির দশকের শেষভাগ থেকে হুমায়ুন আজাদ সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। এ সময় তিনি খবরের কাগজ নামীয় সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখতে শুরু করেন। সামরিক শাসনের বিরোধিতা দিয়ে সূচনা হয় তার রাজনৈতিক লেখালেখির।

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলম ধরার কারণে তার বই যেমন নিষিদ্ধ হয়েছে, তার উপর আরোপ করা হয়েছে এক প্রকার অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা, এসেছে অবর্ণনীয় মানসিক এবং শারীরিক আঘাত। সেই উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লেখার ফলে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাসায় ফেরার পথে ঘাতকেরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। প্রথমে নেয়া হয় ঢাকার সিএমএইচে, পরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসায় তিনি খানিকটা সুস্থ হন।

সেবছরই ৭ আগস্ট বিখ্যাত জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান তিনি। ১১ আগস্ট রাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর হঠাৎ শরীর খারাপ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। যে মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী বইমেলা থেকে ফেরার পথে তার উপর সেই উগ্রবাদীদের হামলা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ