স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি। আর বৃহস্পতিবার বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ দুটি বক্তব্য মিলিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বেহেশতে থেকে তো আর মিথ্যা কথা বলা যায় না, তাই সত্যটাই বলে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এ কথাটা কিন্তু আজকে দেশের প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এসেছে। তার মানে শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি নেই। এই কথাতেই তো সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই মন্ত্রী অনেক সময় তাঁর অজান্তেই অনেক সত্য কথা বলে বসে। শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, এই সরকার সম্পর্কে বিএনপি এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের যে ধারণা, সেটাই এই সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করছেন। আমাদের নেত্রী এই সরকারপ্রধানকে লেন্দুপ দর্জির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। মোমেন সাহেবের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যই সঠিক ছিল বলে প্রমাণিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির সন্তান। আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছি। আমরা আমাদের জনগণকে বিশ্বাস করি, জনগণকে আমরা মনে করি সকল ক্ষমতার উৎস। যেটা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে গেছেন। আমাদের দড়ি অন্য কোথাও নেই।
রিজভী বলেন, আমরা কারও কাছে ধরনা দেই না যে, আমাদেরকে ক্ষমতায় বসাতে হবে। ওরা (সরকার) সব কিছু হারিয়েছে জনগণকে ত্যায্য করেছে বলেই অন্যের কাছে যাচ্ছে তাদেরকে টিকিয়ে রাখার জন্য বলতে। দেশের মানুষের কাছে যাওয়ার তো তাদের মুখ নেই। কারণ, তারা ভোটকে কবর দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবর দিয়েছে। তারা জনগণের কাছে যেতে পারবে না বলেই অন্যদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গোলাম সরোওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।