Search
Close this search box.

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে

ভারতের মোট উন্নয়ন সহযোগিতার ২৫ শতাংশ শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ!

স্টাফ রিপোর্টার – পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে নিরাপত্তা, আন্তঃসংযোগ ও বাস চলাচল নিয়ে আলোচনা হবে। এ সময় তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর অত্যন্ত সফল হবে।
সোমবার চারদিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ তিন বছরের বিরতিতে এবারের সফরে কী কী হতে পারে, কোন্ ইস্যুতে কতটুকু আলাপচারিতা হতে পারে, সেসব থেকে কতটুকু ফল মিলবে, তা নিয়েই এখন আলোচনা ঢাকা থেকে দিল্লি সর্বত্র। ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছার পর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অভ্যর্থনা জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এছাড়া দেশটির নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) সাবান মাহমুদ বলেন, সফরসঙ্গীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের নাম আমরা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যারা আসছেন তার মধ্যে চারজন পূর্ণ মন্ত্রী, চারজন প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের সফরে আগামী ২৫ বছরে ইন্দো-বাংলা সম্পর্কের রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে। দীর্ঘ তিন বছরের বিরতিতে এবারের সফরে কী কী হতে পারে, কোন্ ইস্যুতে কতটুকু আলাপচারিতা হতে পারে, সেসব থেকে কতটুকু ফল মিলবে, তা নিয়েই এখন আলোচনা ঢাকা থেকে দিল্লি সর্বত্র।

দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদির মধ্যেও নিরাপত্তা ইস্যু, সীমান্তে মিয়ানমারের উসকানিমূলক যুদ্ধবিমানের প্যাট্রলিং যখন চলমান, তখন এই বিষয়গুলোই শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে প্রাধান্য পেতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা গবেষক ও বিশ্লেষক স্মৃতি এস পট্টনায়েকের মতে, রোহিঙ্গারা পুরো অঞ্চলের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভারত স্পষ্টভাবে পক্ষ নেবে না। তিনি বলেন, সমাধান না করলে রোহিঙ্গারা স্থানীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সন্ত্রাসে জড়াতে পারে।

এদিকে, অল ইন্ডিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গৌতম লাহিড়ী মনে করেন, এবারের সফরে আগামী দুই যুগের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থায়ী রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারেন হাসিনা-মোদির নেতৃত্ব। 
তাদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধু তিস্তায় আটকে না থেকে, বহুমাত্রিক ইস্যুতে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় ও নবায়নের দিকে জোর দিতে পারেন দুদেশের শীর্ষ নেতারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ