স্টাফ রিপোর্টার – খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ওএমএস বিক্রি কার্যক্রম চলবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্যপরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন পর্যন্ত খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বছরের ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কমর্সূচিও চলবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টন চাল, মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল ও ভারত থেকে এক লাখ টন চাল কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন গম কেনা হবে। এ সময় ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করার কারণে দেশের বাজারে এখন চালের দাম নিম্নমুখী বলেও দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী।
চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পর খোলাবাজারে (ওএমএস) ন্যায্যমূল্যে চাল, আটাসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করছে সরকার। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস কার্যক্রমে চালের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলে। এর মধ্যে শুধু চাল বিক্রি হয় এক হাজার ৯৬০টি কেন্দ্রে এবং চাল ও আটা বিক্রি হয় ৪০৩টি কেন্দ্রে। দুই হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দিনে চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৮০১ টন এবং ৪০৩টি কেন্দ্রে দিনে আটার বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন।
অন্যদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত টানা চলবে। এর পর আবার মার্চ ও এপ্রিল মাসেও তা চলবে। সারা দেশে ১০ হাজার ১১০ ডিলারে মাধ্যমে এ কর্মসূচি চলে।