Search
Close this search box.

চালের দাম আরও বাড়তে পারে

চালের দাম আরও বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার – তেলের দাম বাড়াতে সবকিছুরই দাম বাড়ছে। এর সাথে হিসাব করে চালের দামও বাড়তে পারে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, চালের দাম সর্বোচ্চ দুই টাকা বাড়তে পারে। সাথে এটাও যোগ করেন এর মধ্যে হঠাৎ করে ৮ বা ১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া অনুচিত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, দেশে চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। এবার আউশ ধানের উৎপাদন খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ভারত চাল রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর থেকেই দেশে পুনরায় চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
তিনি জানান, অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। চালের দাম রাতারাতি যখন ৭-৮টাকা বাড়িয়ে দিলো, আমি সারারাত ঘুমাইনি। অফিসে সময়ের আগেই গিয়েছি। সেদিনই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে ১ তারিখে (সেপ্টেম্বর) ওএমএস চালু হবে। ওইদিন এটা আমরা উদ্বোধনও করেছি এবং এখনো চালু আছে।

মন্ত্রী জানান, আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে। ভোক্তারা যাতে শান্তি পায়, যাতে হাহাকার না হয়। দেশে যে মজুত আছে তাতে হাহাকারের কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, একদিকে কৃষকদের ন্যায্যমূলের বিষয়টি থাকে, আরেকদিকে ভোক্তাদের বিষয় থাকে। দেশ এবং জনগণের উপকারে আসে এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য দেওয়ার জন্য এসময় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে চাল দেশে উৎপাদন হওয়ায় সার্বিক দিক বিবেচনায় চালের দাম বেঁধে দেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। ভারতে কৃষকদের ছোট প্যাকেটে করে প্রণোদনা দেয়া হতো। ওই প্যাকেটে ধানের বীজও থাকত। সেখান থেকে মিনিকেট শব্দটি এসেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ডিলারদের মাধ্যমে আটা বিক্রি শুরু হবে। দাম বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেকেরও কম হবে। আর পাচার বন্ধে এখন থেকে খোলা আটার পরিবর্তে প্যাকেট করা আটা সরবরাহ করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মন্ত্রী হলেও নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী মনে করি। মানুষ সুখে থাকলেই নিজেকে মন্ত্রী হিসেবে সফল মনে করব। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা প্রকৃতির মতো অস্থির।

তিনি বলেন, দেশের প্রকৃতির যেমন স্থিরতা নেই, একইভাবে দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝেও নেই কোনো স্থিরতা। অস্থির ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দেন। তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি মোকাবিলা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ