স্টাফ রিপোর্টার – র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা কোন শাস্তি নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেছেন, এই বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না বলে জানান তিনি। রাজধানীর গুলশানে সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়াটা কোনো শাস্তি নয়। তারা যেন তাদের আচরণ পরিবর্তন করে, সেজন্যই দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শিগগিরই প্রত্যাহার হবে না এই নিষেধাজ্ঞা। তবে বাহিনীতে সংস্কার আনলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কাজ করছে। আমরা আশা করছি, র্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল- আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। কেননা এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কিভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দফতর। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে আসলেও এখনও তা প্রত্যাহার করা হয়নি। একই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। বাংলাদেশের নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না বলেও জানান পিটার।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি লক্ষ্য তুলে ধরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সহনশীলতা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরতে সহায়তা করা এবং মার্কিন বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। এ পাঁচটি লক্ষ্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য গুরত্বপূর্ণ।
পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্ক বিরাজমান। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।