Search
Close this search box.

ওবায়দুল কাদেরের মতো ডায়নামিক মন্ত্রী খুব কমই আছে – প্রধানমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদেরের মতো ডায়নামিক মন্ত্রী খুব কমই আছে - প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব থেকে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য হচ্ছে আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কারণ, তার মতো এতো কর্মঠ এবং ডায়নামিক মন্ত্রী খুব কমই আছে। একদিকে তিনি পার্টির সেক্রেটারি, আবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তাকে পার্টির সেক্রেটারি করার পর আমার কাজের চাপ অনেক কমে গেছে।

শনিবার গণভবন থেকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে’র টিউবের কাজ সমাপ্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদানকালে ওবায়দুল কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

টানেল নিমার্ণে চীনা সরকারের সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সহযোগিতা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তখনকার প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের বর্তমান কেবিনেট সেক্রোটারি খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে। তার মতো একজন ডায়নামিক অফিসার ছিল বলে খুব দ্রুত এটা আমরা করতে পেরেছি। সেই সঙ্গে সেতু বিভাগের যারা কর্মরত তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সেই সময় যারা কাজ করেছেন। তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সব থেকে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য হচ্ছে আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কারণ তার মতো এতো কর্মঠ এবং ডায়নামিক মন্ত্রী খুব কমই আছে। তিনি একাধারে যেমন পার্টির সেক্রেটারি পার্টিও চালাচ্ছে। বরং আমি বলতে পারি তাকে পার্টির সেক্রেটারি করার পর আমার কাজের চাপ অনেক কমে গেছে। কারণ অনেক দায়িত্ব সে নিয়ে গেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে সারা বাংলাদেশে আজকে আমাদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটা সেতু, উন্নত মানের রাস্তা করা, সেই সাথে টানেল নির্মাণ, সব ব্যাপারে তার যে বলিষ্ট ভূমিকা, অগ্রণী ভূমিকা সেই জন্য তাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আসলে কাজ করার ইচ্ছা থাকতে পারে কিন্তু কাজ করার মতো লোক দরকার। আমার সৌভাগ্য আমি দেখেছি যারা সঙ্গে কাজ করছে, প্রত্যেকের একটা আন্তরিকতা আছে। দেশপ্রেম আছে, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে, জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে বলেই আমরা এত দ্রুত বাংলাদেশকে উন্নত করতে পারছি।

মাত্র কিছুদিন আগে এক সঙ্গে ১০০টি ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটাও একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আমাদের সড়ক ও সেতুবিভাগ। সে জন্য মন্ত্রীসহ সড়ক ও সেতুবিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান। টানেলের নিরাপত্তার কাছে নিয়োজিত নৌবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে স্থানীয় জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, যেকোনো একটা উন্নয়নের কাজ করতে গেলে অনেক সময় স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। কিন্তু এই কাজটা করার সময় মানুষের যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছি ঠিক পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তাই দেখেছি। স্থানীয় লোক নিজের ঘরবাড়ি বাপ-দাদার ভিটেবাড়ি সব ছেড়ে দিতে হলে তারা ছাড়তে রাজি ছিল। কারণ দেশের উন্নয়ন হোক। ঠিক এই টানেল নির্মাণের সময়ও চট্টগ্রামবাসীর কাছ থেকে সেই সহযোগিতা পেয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ