স্টাফ রিপোর্টার – জাপানের খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে চায় বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে জাপানের অর্জন সর্বত্র প্রশংসিত। এ কারণে জাপানের কৌশল ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে চায়। বুধবার জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারের ফুড সেফটি রিচার্স সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এখন আমাদের মূল ফোকাস। আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ‘জাপান বাংলাদেশের ভালো বন্ধু রাষ্ট্র’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান সরকারের সার্বিক সহায়তায় আমাদের কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।
মতবিনিময় সভায় টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারের অধ্যাপক এবং ফুড সেফটি রিচার্স সেন্টারের পরিচালক সিজোনোবু ইজিমি জাপানের খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল ও প্রয়োগ কৌশল তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাপান তার নাগরিকদের সর্বোত্তম খাবার পরিবেশনের জন্য ১৯৪৭ সালে ফুড স্যানিটেশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করে। ‘পিওর ফুড’ নিরাপদ খাদ্যে নিশ্চয়তার প্রধান চাবিকাঠি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়া খাবার দূষণ করছে, গবেষণার মাধ্যমে আমরা সেটাকে মোকাবেলা করছি।
খাবার খেয়ে জাপানি নাগরিকরা যেন অসুস্থ না হয় তা নিশ্চিত করতে ‘ফুড প্রডাক্ট স্টান্ডার্ড’ নির্ধারণ করা হয় এবং কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় হলে ব্যবসার অনুমোদন বাতিল করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারে পিএইচডি করার সুযোগ রাখবেন বলেও জানান সিজোনোবু ইজিমি। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, সদস্য রেজাউল করিম, মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ এবং টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারের ভাইস প্রসিডেন্ট শুনসুকি ইয়াজামি ও মারিকো উইহারা।