স্টাফ রিপোর্টার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেফতারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যগণ অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কোন জাতীয় দুর্যোগে বাহিনীর সদস্যগণের ধৈর্য্য, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কার্যক্রম সকল মহলে প্রশংসিত। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। দায়িত্ব পালনকালে তাঁরা আত্মত্যাগের যে মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তা গোটা পুলিশ বাহিনীকে গৌরবান্বিত করে। কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশ পুলিশের সে সকল সদস্যদের আত্মত্যাগ ও গৌরবময় অবদানকে স্মরণ করে প্রতিবছর দেশব্যাপী সমস্ত পুলিশ ইউনিটে ১ মার্চ পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালিত হয়। ২০১৭ সাল হতে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত এক বছরে নিহত ১২১ জন সদস্যসহ দায়িত্ব পালনকালে নিহত সকল পুলিশ সদস্যকে সম্মান জানাতে এ দিবস পালন করা হয়।
বুধবার সকালে রাজধানী মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান.এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাব মহাপরিচালকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা । এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী সন্তান সহ আত্বীয় স্বজনেরা।
এসময় দায়িত্বরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরনে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় পুলিশের একটি চৌকস দল।
এরপর পুলিশ কনভেনশন হলে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় অংশ নেন প্রধান অতিথি স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান.এমপি এবংবিশেষ অতিথি সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ সদস্যদের সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনী হবে সহযাত্রী ।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে।
গত এক বছরে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে চাকরিরত অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশের ২৯১ জন সদস্য মারা যান। এছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় ১২১ জন পুলিশ সদস্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।
এরপর নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্বীকৃতি স্মারক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।