স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের গায়ে জ্বালা। এ কারণে পদযাত্রার নামে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বিএনপি জামায়াত ভণ্ড এবং প্রতারকদের সংগঠন। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে এখন দণ্ডিত আসামি। তারেক জিয়া দণ্ডিত আসামি। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের ছবক দেওয়া তাদের শোভা পায়না। বিএনপি জামায়াত এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। দেশের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে তারেক রহমান, ওই টাকা আমরা দেশে ফিরিয়ে আনছি। বেগম জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়ে এখন নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে বিএনপি-জামায়াতের লোক মানেই প্রতারক। শনিবার বেলা ১১টায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুবলীগ হবে মানবিক ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে তাদের নেতৃত্বে আনতে হবে। কোনো ভূমিদস্যু, মাদক কারবারীর ঠাঁই যুবলীগে হবে না।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আকবর আলী মর্জি, রেজাউল হক রেজা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, এমপি অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আকতার হোসেনসহ বাংলাদেশ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ডা. আওরঙ্গজেব আরু, ইয়াছির আরাফাত রামিম, রেজা ই রাব্বী, আশরাফুল ইসলাম রতন প্রমুখ। পরে রাজবাড়ী পৌরসভায় দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
তিনি দাবি করেন, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার কারণে ডুবতে বসেছে বিএনপি। যুবলীগকে মানবিক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে পরশ জানান, নিজের জন্য নয়, তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে এই সংগঠন। এর আগে, সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সাংগঠনিক পদ শুধুমাত্র সাংগঠনিক কাজেই ব্যবহার করবেন। সাংগঠনিক পদ ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার বস্তু নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য না। এই পদ পদবি কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করতে হবে। ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কোনো মাদক ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যু, বালু ব্যবসার সাথে জড়িত কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হবে না। যুবলীগ আজ মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারাই একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য রাজপথে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে আগামীতে ক্ষমতায় আনতে হবে। যুবলীগকে সাধারণ মানুষের মাঝে যেতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শুধু নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করাই প্রধান উদ্দেশ্য নয়। একই সাথে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রত্যয় নিতে হবে। আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নিজের পকেট ভারি করার প্রবণতা পরিহার করে দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি গড়তে হবে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সফলতা ও সম্মান এনে দিয়েছেন। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অর্জন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামনে যে দিন আসছে সেখানে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে যুবসমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।