Search
Close this search box.

বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার - প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – ঢাকার পর এবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পয়লা মে সংস্থার সদরদপ্তরে এ আয়োজনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে প্রায় ৩ বছর দায়িত্ব পালন করে সদ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া মার্সি টেম্বন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিশ্বব্যাংকে স্বাগত জানার অপেক্ষায় তারা। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসের আগুনের ছাই থেকে পুনর্জন্ম হওয়া ব-দ্বীপটির ঘুরে দাঁড়ানোর অসামান্য গল্প গোটা বিশ্বকে জানাতে চান তিনিও।

বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সময় জাপান ও যুক্তরাজ্যও সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের গত পাঁচ দশকের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ফাটল ধরে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে। দুর্নীতি হতে পারে এমন অভিযোগ এনে ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। এ নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে গর্ব করে। তাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। এখন তারা ঘটা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন যাবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে জাপান সফর করবেন তিনি।

বিগত প্রায় ১৫ বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বাইরে কোনো কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রে আসেননি প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এরআগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন। বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং তৃণমূলের উন্নয়নে অভিভূত হয়েছেন। গৃহহীনদের ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্যোগের প্রশংসা করেন টেম্বন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ