Search
Close this search box.

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে এবি পার্টির বৈঠক

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সঙ্গে এবি পার্টি প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মানবাধিকার প্রসঙ্গ। সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান-২ এ জাতিসংঘের ঢাকা আবাসিক দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া এবং এবি পার্টির সহকারী সদস্য-সচিব ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।

এবি পার্টির মিডিয়া বিভাগের সদস্য আনোয়ার সাদাত টুটুল জানান, পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা, এবি পার্টির রাজনৈতিক অবস্থানসহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।

এক ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে চলা ওই বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বায়ক, গোয়েন লুইস ছাড়াও ঢাকা দপ্তরের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, এবি পার্টির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বিগত তিন বছরে তাদের দল গঠনের ইতিহাস, এর প্রেক্ষাপট এবং বিস্তৃতির বিস্তারিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। বর্তমান জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এর থেকে উত্তরণ এবং পরবর্তী নতুন প্রজন্মের রাজনীতি ও এর বিপরীতে রাষ্ট্রযন্ত্রের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানার যে আগ্রহ, এবি পার্টির নেতারা সে বিষয়টিকে স্বাগত জানান।

এবি পার্টি পুরোনো ধারার গতানুগতিক বংশ পরম্পরার রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি নীতিভিত্তিক, সমস্যা সমাধানের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরেন।

সামনের দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে দলটির নেতারা বলেন, পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতায় এটা বারবার প্রমাণ হয় যে- দলীয় সরকার কখনোই একটি বিশ্বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। এছাড়া ঢাকা- ১৭ আসনের সাম্প্রতিক উপনির্বাচন প্রমাণ করেছে- বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রতিনিধি দলটি আবাসিক প্রতিনিধিকে গত বছরের ডিসেম্বরে এবি পার্টি ঘোষিত দুই দফা দাবির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করা হয়েছিল। আশা করা যায়- এতে সকল প্রধান রাজনৈতিক দল সম্মত হবে।

এবি পার্টি বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ এবং সমাবেশের সময় দেশজুড়ে ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে দলীয় উদ্বেগ তুলে ধরেন।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা এবং অন্য একটি বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে এটা প্রতিস্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে এবি পার্টির নেতারা বলেন, এটা চোখে ধুলো দেওয়ার একটি অপপ্রয়াস এবং নতুন বোতলে পুরোনো মদ উপস্থাপনের উজ্জ্বল নজীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ