Search
Close this search box.

জাতীয় নির্বাচনকে ইসি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে: আইনমন্ত্রী

সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনের এমপি মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল পৌনে ৫টায় অধিবেশন শুরু হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ইসি নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সবার অবগতির জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের অবাধে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়, অর্থাৎ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব কার্যক্রম সংবিধান, আইন, বিধি অনুযায়ী নেওয়া এবং যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর প্রতি সমআচরণ, নির্বাচন কমিশনের অধিক সংখ্যক যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং-সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখা, নির্বাহী ম্যাজিট্রেট প্রার্থী বা সমর্থক যেন নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করা, আইন ও বিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা, সব প্রার্থীকে আচরণবিধি অনুসারে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ তৈরিসহ সম্ভাব্য সব কার্যক্রম নিয়েছে।

আনিসুল হক আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানকে কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এবং এই চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের উপায় হিসেবে অনেকগুলো ব্যবস্থা এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশন এরই মধ্যে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এছাড়া সংবিধান, আরপিও, মতবিনিময় সভার আলোচনা, প্রচলিত বিভিন্ন আইন ও বাস্তবতার নিরিখে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিশন তৎপর রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ