জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে বিরোধী দলীয় হুইপ হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধী দলীয় উপনেতার কার্যালয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী জাপার সংসদ সদস্যদের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখন স্পিকারকে জানানো হবে।
জাপার সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা, চিফ হুইপ পদে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করলেও ১১ আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হতে পারবে কি না, সেটা নির্ভর করছে স্পিকারের ওপর। স্পিকারের স্বীকৃতি পেলে দ্বাদশ সংসদে জাতীয় পার্টি তৃতীয়বারের মতো বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসছে, এটা নিশ্চিত। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী অন্য কারো সংসদে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগ নেই। তাই, জাপার সংসদীয় দলের সভায় বিরোধী লীয় নেতা, উপনেতা ও চিফ হুইপ নির্বাচন করা হয়েছে। আগামীতে তাদের নেতৃত্বে জাপা কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।
সভায় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সংসদ অধিবেশনের আগে তার কবর জিয়ারতের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি রংপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া, জাপার সংসদ সদস্যদের অন্তত পাঁচটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সভাপতি করার দাবি জানানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন একাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, হফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সেলিম ওসমান এমপি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপিসহ এগারো সংসদ সদস্য।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করে। ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান। তাদের মধ্যে ৫৯ জনই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই, নতুন সংসদে বিরোধী দলের আসনে কে বসবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সংসীয় দলের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে নির্বাচন হয়েছে। যদিও স্বীকৃতির বিষয়টি স্পিকারের ওপর নির্ভর করছে। কারণ, জাপার সংসদ সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিলেও স্পিকার সম্মতি দিলেই কেবল তারা প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবে।