স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ আট বছর পর ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হওয়া জামায়াতের প্রয়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম (আরমান) গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার পক্ষে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাতে ব্যারিস্টার আরমানকে নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। জোরপূর্বক তাকে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় ও সাদা মাইক্রোতে উঠানো হয়। তারা আরমানকে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে একটি নির্জন কক্ষে বা সেলে বন্দি করে রাখে। সেলটি খুবই পুরোনো ছিল। সেখানে তাকে ১৬ দিন রাখা হয়।
গুম করার কয়েক মাস পরে একজন প্রহরী গভীর রাতে তার সঙ্গে কথা বলতে আসেন এবং জানান, অপহরণের কয়েক মাসের মাথায় তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হত্যা করে ইট বেঁধে মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া, মরদেহ যাতে চেনা না যায় সেজন্য হত্যার পর মুখ ও হাত অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের একজন বড় কর্মকর্তা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় সিলেটে একটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। ফলে আরমানকে হত্যার সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ৬ আগস্ট মধ্য রাতে তাকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়।