স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযোদ্ধাদের জাল নথি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে বিগত ১৫ বছরে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই জাল দলিলের অভিযোগে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রত্যাহার এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই করে তাদের নাম গেজেট থেকে বাদ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটার অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে নথি চেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু সাবেক মন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তাদের অনেক ক্ষেত্রে ভাতা, বাসস্থান ও চাকরিসহ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে যাচাই-বাছাই ছাড়াই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাওয়ার জন্য দাখিলকৃত নথি প্রাথমিকভাবে জাল পাওয়ায় এরই মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সুবিধাভোগীর ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে আরো যে ২ হাজার ৮৯ জন মুক্তিযোদ্ধার বয়স যুদ্ধের সময় সাড়ে ১২ বছরের নিচে ছিল, তাদের ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।