আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেছেন, জনগণ ২০০১ সালে ফেরত যেতে চায় না। এই সময়ে জঙ্গি হামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং বিদ্যুতের নামে খাম্বার ঘটনা জনগণ দেখেছে। জনগণের মনে ২০০১-২০০৬ সালের দুঃশাসনের স্মৃতি বিরাজমান।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির উদ্যোগে এ স্মরণ সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ফারুক খান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। আমরা কি আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফেরত যেতে চাই? তারা ক্ষমতায় এলে আমাদের দেশে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে সব বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে বিএনপির দুঃশাসনের মডেল আছে। পাশাপাশি ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উন্নয়নের মডেল আছে। পৃথিবীর সব অর্থনৈতিক সংস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সামনে নির্বাচন, তাই আমাদের উন্নয়নের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের পক্ষে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা একত্রে কাজ করব। অনেক সময় সংসদীয় আসন নিয়ে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। সে সুযোগে বিএনপি-জামায়াত অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপি উন্নয়ন বোঝে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। ১৯৯৩ সালে বিএনপির শাসনামলে বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া বলেছিলেন সাবমেরিন কেবল দিয়ে দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই পচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে জনগণ রুখে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির এমন শিখরে পৌঁছেছে যে, পাকিস্তানিরা দূরবীন দিয়েও সেটি দেখতে পারবে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ধর্মবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. শাজাহান আলম সাজু, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।