Search
Close this search box.

সরকার ঘাবড়ে গেছে –ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাসিনার সরকার ঘাবড়ে গেছে। ঘাবড়ে গিয়ে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করছে। কিন্তু এভাবে শেষ রক্ষা হবে না।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, তাদের নামে মামলা, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও জামিন বাতিলের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দেশ শাসনের আর কোনো অধিকার নেই। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভালোয় ভালোয় সরে পড়ুন। নইলে দেশের জনগণ জানে কীভাবে সরাতে হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলনের মূল লক্ষ্য এই সরকারের গণবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করা। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা আর তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমাদের আন্দোলন। সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন। আমরা বলতে চাই, আমাদের যেসব সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্ত ও আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা মামলা ও গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। দেশের মানুষ কাউকে ক্ষমা করেনি। দেয়ালের লিখন পড়ুন। সাধারণ মানুষের মনের ভাষা বুঝতে শিখুন।

তিনি আরও বলেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মানুষের টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিদ্যুৎ আছে, পাবেন। কিন্তু আমাদের তো চলে না। দিনে পাঁচ ছয়বার লোডশেডিং হয়। মানুষ অতিষ্ঠ। দেশের কলকারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কলকারখানা বন্ধ হলে লাখ লাখ কর্মী বেকার হবেন।

ফখরুল বলেন, আজ তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অবসরে পাঠাচ্ছে। খবরের কাগজে বেরিয়েছে, এই যে ঋণ নিয়ে কাজ করে, বিদেশের কাছ থেকে ধার নিয়ে, এখন আর ঋণ শোধ করতে পারছে না। এর ফলে কী হবে? সব বিদেশি সংস্থা ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেবে। রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে। খুব ঘাবড়ে গেছে, আজকে হাসিনা এত ঘাবড়ে গেছে যে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বিদায় দেওয়া শুরু করেছে।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাঁচজনকে হত্যা করেছেন। প্রয়োজনে বুক পেতে দেব। কিন্তু আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। যারা সমাবেশে যাওয়ার আগেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন, তাদের কালো তালিকা করা হবে। আমরা অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

এদিকে খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ইতোমধ্যে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, খুলনার পথে পথে তারা আমাদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করেছে। খুলনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র যে বাসায় অবস্থান করছে, সেইখানেও পুলিশ রেইড করেছে এবং ২৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।  শুক্রবার সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি, খুলনায় সরকার নির্দেশ দিয়েছে- সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা লোকজনকে পথে দেখা মাত্র গ্রেফতার করতে। গতকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাম দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউন করেছে। তারা সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি ।

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে। আসলে এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাই আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দিতে চায় না।

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা একটি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি- তারা রেলও বন্ধ করে দেবে। যদিও এখন সেটা করেনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ