মিথুন আশরাফ ॥ দুই ইনিংসেই বাজে ব্যাটিং করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে হেরেছে। সোয়া তিনদিনের আগেই খেলা শেষ হয়ে গেছে। তাতে করে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে সাকিববাহিনী।
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ। শুধু টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করে। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৯৪, জারমেইন ব্ল্যাকউড ৬৩ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ৪ উইকেট শিকার করে নেন। প্রথম ইনিংস শেষেই ১৬২ রানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে ২৪৫ রান করতে পারে বাংলাদেশ। সাকিব এবারও ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। সাথে নুরুল হাসান সোহান ৬৪ রান করেন। দুইজন মিলে সপ্তম উইকেটে ১২৩ রানের জুটিও গড়েন। যেই দলের ২৩২ রানে গিয়ে সাকিব আউট হন, এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কেমার রোচ একাই ৫ উইকেট শিকার করে নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জিততে ৮৪ রানের টার্গেট দাড় হয়ে যায়।
তৃতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করায় জিততে ৩৫ রান দরকার থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে বাংলাদেশের দরকার থাকে ৭ উইকেট। ম্যাচটি যে বাংলাদেশ হারতে চলেছে তা তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা হয়ে যায়। অপেক্ষা ছিল কিছু অঘটন ঘটে কিনা তা দেখার। কিন্তু কিছুই ঘটেনি।
চতুর্থদিন খুব সহজেই জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয়দিন শেষে জন ক্যাম্পবেল ২৮ ও ব্ল্যাকউড ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থদিন ৭ ওভারেই খেলা শেষ হয়ে যায়। ক্যাম্পবেল (৫৮*) ও ব্ল্যাকউড (২৬*) মিলেই খেলা শেষ করে দেন। আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রান করে সহজেই জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ॥ প্রথম টেস্ট
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১০৩/১০; সাকিব ৫১ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৫/১০; সাকিব ৬৩, সোহান ৬৪; রোচ ৫/৫৩।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ২৬৫/১০; ব্র্যাথওয়েট ৯৪, ব্ল্যাকউড ৬৩; মিরাজ ৪/৫৯ ও দ্বিতীয় ইনিংস ৮৮/৩; ২২ ওভার; ক্যাম্পবেল ৫৮*, ব্ল্যাকউড ২৬*; খালেদ ৩/২৭।
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে পরাজিত। ম্যাচ সেরা : কেমার রোচ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। সিরিজ : বাংলাদেশ ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে।