Search
Close this search box.

বাংলাদেশকে শাস্তি দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

বাংলাদেশকে শাস্তি দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

স্পোর্টস রিপোর্টার : সেন্ট লুসিয়া টেস্টে কাইল মেয়ার্স যেভাবে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করলেন, যেভাবে একের পর এক বড় জুটি হলো, তাতে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়। দ্বিতীয় দিন শেষে যেভাবে দাপট দেখিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাতে বাংলাদেশকে শাস্তিই দিচ্ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৪০ রান করে ফেলেছে। ১০৬ রানে এগিয়েও গেছে। মেয়ার্স একাই অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে নিজের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমেই অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই করে নিলেন। প্রথম উইকেটে ব্র্যাথওয়েট ও ক্যাম্পবেল মিলে ১০০ রানের জুটি গড়েছেন। পঞ্চম উইকেটে মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউড মিলে গড়েছেন ১১৬ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে মেয়ার্স ও সিলভা মিলে অবিচ্ছিন্ন ৯২ রানের জুটি গড়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ভালোই ভোগাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা।

বাংলাদেশের এমন অবস্থা দেখে কোচ নিজেই যেন বিরক্ত। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের বাজে পারফরম্যান্সে। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ (৩৯৪) রান তাড়া করেছিল চট্টগ্রামে। মেয়ার্স ২০০ (২১০*) রান করেছিল সেদিন। আমরা এ ধরনের ইনিংস পাচ্ছি না। ছেলেদের জন্য এটা অনেক বড় শিক্ষা। টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেট কঠিন। যখন আপনি যতটা দীর্ঘ সময় ব্যাট করা উচিত, ততটা করছেন না, তখন ভালো দল আপনাকে শাস্তি দেবে। এখন আমাদের ওরা শাস্তিই দিচ্ছে।’

ডোমিঙ্গো বলেন, ‘দুই দলের পার্থক্যটা মূলত ওই ব্যাটিংয়েই বেশি ধরা পড়ছে। ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তোলার আছে। কারণ, এটা ২৩০ এর উইকেট না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে কেনো ওরা এই সংস্করণে আমাদের চেয়ে ভালো দল। ওদের একজন একশ রানে অপরাজিত আছে। ওদের সামনে বড় রান করার সুযোগ আছে। কারণ, ওরা জুটি গড়তে সক্ষম হয়েছে, লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। ওরাই দেখাচ্ছে আমাদের কী করা উচিত।’

‘এই ম্যাচে এখনো অনেক খেলা বাকি। অথচ মেয়ার্সকে দেখবেন ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। কাভারে অনেক রান করেছে সে। নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা অনুযায়ী যতক্ষণ পেরেছে খেলেছে। ভাগ্যও তার সঙ্গে ছিল। কিছু এজ স্লিপ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে গিয়েছে। এক-দুটি বল গিয়েছে স্লিপের পাশ দিয়ে। কিন্তু নিজের ভাগ্য তো নিজেকেই গড়তে হয়। সে দারুণ ইন্টেনসিটি দেখিয়েছে। বাজে বলকে শাসন করেছে।’

‘আমাদের দলের অনেক ক্রিকেটার ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছে, রানের পেছনে ছুটছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায়, লম্বা সময় ধরে ব্যাট করা। অনেক ৩০-৪০ রানের ইনিংস হচ্ছে। কেউ কেউ ৫০ রান করছে। তবে কাইল মেয়ার্স যা করছে, সেটা কেউই করছে না। কারণ এটাই ২৩০ আর ৪০০ রানের মধ্যে পার্থক্য। আমাদের ওর মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে।’ 

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ