Search
Close this search box.

সেন্ট লুসিয়ায় ইনিংস হারও হতে পারে!

সেন্ট লুসিয়ায় ইনিংস হারও হতে পারে!

স্পোর্টস রিপোর্টার :  শত চেষ্টা করেও যেন সাকিবদের কাজ হচ্ছে না। ব্যাটিংটা বারবার এতটাই খারাপ হচ্ছে, হারই নিয়তি হচ্ছে। অ্যান্টিগা টেস্টের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টেও যেমন হারই কঁপালে জুটতে পারে।

টেস্টের প্রথম ইনিংসে যাও ২৩৪ রান করা গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে তো ২০০ রান করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এখন ১৫০ রান করাই চ্যালেঞ্জ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪০৮ রান করার পর তৃতীয়দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করেছে বাংলাদেশ। কে জানে, ইনিংস হারই নাকি আবার হয়ে যায়! ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে যে এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাতে আছে ৪ উইকেট।

চতুর্থদিন সকালের সেশন খেলতে হবে। এই সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা যে কতটা বাজে হয়, তা তো সবারই জানা। প্রথম ইনিংসে শেষ ৪৩ রানে ৩ উইকেট পড়েছিল বাংলাদেশের। তাও লিটন কুমার দাসের (৫৩) হাফসেঞ্চুরির পর এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম নবম উইকেটে গিয়ে ৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন বলে রক্ষা মিলেছে। মাঝখানে তো ১০৫ রান থেকে ১৩৮ রান পর্যন্ত ৩৩ রানেই ৪ উইকেট পড়েছিল। 

দ্বিতীয় ইনিংসে তো শুরুতে ৫৭ রানেই ৪ উইকেট পড়েছে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৪), মাহমুদুল হাসান জয়ের (১৩) সাথে এনামুল হক বিজয় (৪) ও লিটন কুমার দাস (১৯) আউট হয়ে যান। এরপর পঞ্চম উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান মিলে ভরসা দিতে থাকেন। তবে ৪৭ রানের বেশি জুটি গড়তে পারেননি। দলের ১০৪ রানে গিয়ে যেই শান্ত (৪২) আউট হন, ১১৮ রানে গিয়ে সাকিবও (১৬) সাজঘরে ফিরেন। এরপর নুরুল হাসান সোহানের (১৬) সাথে মেহেদি হাসান মিরাজ (০) মিলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে পথ চলছেন। দলকে আগে ইনিংস হার থেকে বাঁচাতে চেষ্টার কোন কমতি করছেন না। আর ৪২ রান আগে করতেই হবে। এরআগে যদি হাতে থাকা ৪ উইকেট পড়ে যায়, তাহলেই ইনিংস হার হয়ে যাবে। কেমার রোচ (৩) ও আলজারি জোসেফরা (২) যেভাবে গতির ঝড় তুলছেন, তাতে কঠিনই।

তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে ৯০ ওভার পুরো খেলা হতে পারেনি। ৫৬ ওভার খেলা হয়। দ্বিতীয় সেশনের আগেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয়দিন খুব বেশিদুর এগিয়ে যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে কাইল মেয়ার্স একাই বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিয়েছেন ব্যাটিংটা কিভাবে করতে হয়।

প্রথম ইনিংসে একাই ১৪৬ রান করেছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয়দিন আরও ২০ রান যোগ করে পেসার খালেদ আহমেদের বলে আউট হয়ে যান মেয়ার্স। দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান করে ১০৬ রানে এগিয়ে ছিল। তৃতীয়দিন এরসাথে আরও ৬৮ রান যোগ করে ৪০৮ রান করে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে এগিয়ে যেতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট ছিল ২০০ রানের উপরে এগিয়ে থাকার। তা করা যায়নি। পেসার খালেদ যে অসাধারণ বোলিং করেছেন। একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট শিকার করলেন খালেদ। মিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট।

মেয়ার্স-জসুয়া ডি সিলভা জুটিকে খুব বেশিদুর এগিয়ে যেতে দেননি মিরাজ। ৯৬ রানের জুটি হয়। তৃতীয়দিন শেষে দুইজন ৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। দলের ৩৪৪ রানে জসুয়া আউট হওয়া থেকে ৪০৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারায়। দলের ৩৮৪ রানে গিয়ে মেয়ার্সকে আউট করেন খালেদ। যা বোঝা যাচ্ছে, মেয়ার্সই এ টেস্টের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে থাকবেন। আর বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা তা দেখে জ¦লে পুড়ে ছাড়খাড় হতে থাকবেন। দলকে দিনের পর দিন ডুবতে দেখছেন। দলকে ইনিংস হারের বিপদেও ফেলেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ