Search
Close this search box.
ফ্রান্স-মরক্কো সেমিফাইনাল লড়াই

ইংল্যান্ডকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

মিথুন আশরাফ – কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। রাত ১ টার ম্যাচে ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফ্রান্সের গোল করেছেন টিচুয়ামেনি ও অলিভিয়ের জিরু। ইংল্যান্ডের গোল করেছেন হ্যারি কেন।

এখন বুধবার রাতে মরক্কোর বিপক্ষে সেমিফাইনালে লড়াই করবে ফ্রান্স। মরক্কো তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে। 

দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে ম্যাচ শুরুর ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ইংল্যান্ডের ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতিতে শট নেন টিচুয়ামেনি। যেখানে ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল জালে জড়ালে দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স (১-০)। প্রথমার্ধ ফ্রান্সের এগিয়ে থাকা দিয়েই শেষ হয়।

 

টিচুয়ামেনি

 

ম্যাচের ৫৪ মিনিটেই ইংল্যান্ড সমতায় ফিরে। হ্যারি কেন পেনাল্টি থেকে গোল করেন (১-১)। সাকাকে বক্সের মধ্যে ফাউল টিচুয়ামেনি। যিনি ম্যাচে প্রথম গোল করেছিলেন, তাঁর ফাউলেই ইংল্যান্ডের গোলের সুযোগ। পেনাল্টি মিলে। কেন পেনাল্টি থেকে গোল করেন।

 

হ্যারি কেন
খেলার ৭৮ মিনিটে জিরুর গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। খেলা জমে ওঠে। অলিভিয়ের জিরুর অনবদ্য শট জর্ডন পিকফোর্ড সাময়িক বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেভ থেকেই কর্নার। এবং কর্নার থেকেই গোলের মুভ। গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তাঁর কাছেই ফেরে। গ্রিজম্যানের ক্রস, হেডে গোল অলিভিয়ের জিরুর (২-১)।
গোল করার পর অলিভিয়ের জিরু
কিছুক্ষন পরেই ৮২ মিনিটে আবার পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। এবার কেন মিন করেন। বক্সের মধ্যে মেসন মাউন্টকে ফাউল। রেফারি খেলা চালিয়ে যান। থিও হার্নান্ডেজের অপ্রয়োজনীয় ফাউল। অবশেষে ভিএআর চেক। রেফারি সাম্পায়ো ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। পেনাল্টি শট নিতে ফের কেন। গোলরক্ষক হুগো লরিসের সঙ্গে মেন্টাল গেম। কেন এ বার জিততে পারলেন না। স্পট কিক মারলেন ক্রসবারের উপরে। কোপাল পোড়া।
পেনাল্টি মিসের পর হ্যারি কেন

এখন বর্তমান ফুটবলে যে ফুটবলাররা তারকাখ্যাতিতে মাতছেন তাদের মধ্যে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ব্রাজিলের নেইমার ও ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে হচ্ছেন অন্যতম। এ ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাগ্যবান হচ্ছেন এমবাপ্পে। প্রথমবার  বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই শিরোপা জিতেছেন। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে সেই শিরোপা উচিয়ে ধরার সৌভাগ্যও হয়েছে। নেইমার ও রোনাল্ডো বিদায় নিয়েছে। লিওনেল মেসি আছেন। এমবাপ্পেও আছেন।

শেষ ষোলতে সেনেগালকে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনের দল ইংল্যান্ড ৩-০ গোলে সেনেগালকে হারানোর আগে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকে। গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলতে ওঠে। ইরানকে ৬-২ গোলে হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওয়েলসে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয়। বিশ্বকাপে যে দলগুলো উড়ছে, তাদের মধ্যে ইংল্যান্ড অন্যতম দল। কোয়ার্টার ফাইনালে এসে ওড়া থেমে যায়। ইংল্যান্ডের ওড়া থামায় ফ্রান্স।

সেই তুলনায় শেষ ষোলতে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। এরআগে তিউনিসিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে হোচট খায়। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারায় ফ্রান্স। তবে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড বলেই ফ্রান্সের থাকে ভয়! বিশ্বকাপে আবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে কখনোই কুলিয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স। দুইবার খেলে দুইবারই হেরেছে। এবার জয় পায়। ঠিকই জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ