স্পোর্টস রিপোর্টার – ড্রেসিংরুমে ধুমপান করে শাস্তি পেয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয় সুজনকে। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্টও। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক, জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন শাস্তিটা পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের কোচ হিসেবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুমে ধূমপানের শাস্তি দেওয়া হলো বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে। এছাড়াও আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে জরিমানার মুখে পড়েছেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান, উইকেটকিপার-ব্যাটার নিকোলাস পুরান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
বিপিএলের প্লে-অফে পৌঁছাতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। শেষ চার দলের একটিও হতে পারেনি। তবে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বিতর্কিত কাজ করে দেখান। তিনি ড্রেসিংরুমে ধূমপান করেছেন। নিজেদের দ্বাদশ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারায় ৬ উইকেটে। সাফল্যের দিনে ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে বিতর্কে জড়ালেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান টিম ডিরেক্টর। সরাসরি ম্যাচ সম্প্রচারকারী ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ে সুজনের ধূমপানের দৃশ্য। এরপর তার স্ক্রিনশট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে থাকেন নেটিজেনরা। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় নিন্দার ঝড়।
বিপিএলে ধূমপান করা নতুন ঘটনা নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসরে মাঠেই ইলেক্ট্রিক সিগারেট পান করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন মিনিস্টার ঢাকার মোহাম্মদ শেহজাদ। এতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আফগান ক্রিকেটারকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছিল। তাছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যোগ করা হয়েছিল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। বিসিবি আচরণবিধির লেভেল-১-এর ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে। আম্পায়ারদের অভিযোগের পর শাস্তির সিদ্ধান্ত দেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। অপরাধ স্বীকার করে নেন খুলনার অধিনায়ক। ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
এদিকে রবিবার এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন শেখ মেহেদি। তবে জয় উদযাপন করতে গিয়ে ব্যাট দিয়ে নিজের হেলমেটেই আঘাত করেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল হেলমেট ছুড়ে মেরেছেন এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে বিসিবির আচরণবিধির ২.২ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তার। পাশাপাশি তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।