ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। ইডেনে কোনো ব্যাটার লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় ২৯ বল আগেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২০৪ রানে। অন্যদিকে টানা চার ম্যাচ হেরে আসা পাকিস্তান দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখালো, ৭ উইকেটে জিতেও গেলো। এই হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে বাংলাদেশের।
স্বপ্নের চিঠির নতুন ঠিকানা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ সংশয়েই পড়ে গেলো তাই। শুরুতে তাদের দেওয়া ২০৫ রান তাড়া করতে পাকিস্তানের ১০৫ বল খেলতেই হয়নি।রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতে কিছুটা ‘থ্রেট’ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটের সঙ্গে ইডেনের গ্যালারি থেকেও ভেসে আসছিল চিৎকার। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের টানা দুটি মেডেন ওভারে আসার পালে একটু-আধটু হাওয়াও লেগেছিল।
কিন্তু প্রথম উইকেট যখন বাংলাদেশ পেয়েছে, ততক্ষণে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে ম্যাচের ভাগ্য। ২২তম ওভারে এসে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৮ রান করে আব্দুল্লাহ শফিককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে।
এরপর বাংলাদেশ আরও উইকেট পেয়েছে। কিন্তু তাতে ম্যাচের ভাগ্য বদলায়নি। কেবল ফখর জামান হয়তো একটু আফসোস করতে পারেন, সেঞ্চুরিটি করা হয়নি তার। আর মিরাজ খুশি হতে পারেন আরও দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে ১০০ উইকেট পূরণ করায়। ৩ চার ও ৭ ছক্কার ইনিংসে ৭৪ বলে ৮১ রান করা ফখরকে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান। আর ১৬ বলে ৯ রান করে লং অনে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে বাবর আজম ক্যাচ দেন।
এই হারে ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট টেবিলের নয়ে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ কম খেললেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় তলানিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।