মিথুন আশরাফ : অ্যান্টিগা টেস্টে হারের মুখেই পড়ে গেছে সাকিব আল হাসানবাহিনী। বিশেষ কোন বোলিং নৈপুন্য ছাড়া টেস্ট হার থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জিততে ৩৫ রান লাগবে। বাংলাদেশের লাগবে ৭ উইকেট। ম্যাচের হাতে আছে দুইদিন। এত অল্প রান বাকি আছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ই দেখা যাচ্ছে।
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুতেই ৯ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তাতে আশা দেখা হচ্ছিল। পেসার খালেদ আহমেদ এমনই অসাধারণ বোলিং করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জিততে ৮৪ রানের কম টার্গেট দিয়েও জয়ের আশা তৈরী হয়। কিন্তু জন ক্যাম্পবেল (২৮*) ও জারমেইন ব্ল্যাকউড (১৭*) মিলে উইকেটে থিতু হয়ে যান। তাতেই আবার হারের সম্ভাবনায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনেই তা হয়ে যাচ্ছে। ম্যাচ পাঁচদিনের গড়াচ্ছে না, তা নিশ্চিতই বলা যায়। যা হওয়ার চতুর্থ দিনেই হয়ে যাবে।
এখন যে অবস্থা আছে, তাতে অঘটন, অলৌকিক কিছু না হলে এই টেস্ট বাংলাদেশ হারতেই চলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে নুরুল হাসান সোহানের ৬৪, সাকিব আল হাসানের ৬৩ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ৪২ রানে ২৪৫ রান করতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের ২ উইকেটে ৫০ রানের সাথে আরও ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ একাই ৫ উইকেট শিকার করে নেন।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে সাকিব ও সোহান মিলে ১৯৫ রানেনর জুটি গড়ে দলকে এতদুর নিয়ে যান। টানা দুই হাফসেঞ্চুরি করে দলের ২৩২ রানে সাকিব আউটের পর ২৪৫ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সোহান প্রশংসনীয় ব্যাটিং করেছেন। হাফসেঞ্চুরি করেছেন। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। আড়াইশ রানের নিচে অলআউট হয়ে যায় সাকিবরা। সোহান, সাকিব, জয় ছাড়া আর কোন ব্যাটারই যে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটিং হয়েছে। তবে রান ৩০০ হলে আরেকটু বেশি টার্গেট পড়ত। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও চাপে রাখা যেত। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী জয়ের এমন সুযোগ হাতছাড়া করবে?
একটি জিনিস অবশ্য এরমধ্যে হয়ে গেছে। অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে এখন জয় হলে তো কথাই নেই। আর হার হলেও এবার আর ইনিংস হার হচ্ছে না, তা নিশ্চিত হয়ে গেছে। সাকিব-সোহানের ব্যাটিং নৈপুন্যেই সম্ভব হয়েছে। এ দুইজনের ব্যাটিংয়েই এখনও লড়াই জিইয়ে আছে। আর খালেদের টপাটপ উইকেট শিকার করা বোলিংয়ে দেখা হচ্ছে জয়ের স্বপ্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৫ রান করে ফেলার আগে ৭ উইকেট তুলে নেওয়া গেলেই হয়ে গেল।