Search
Close this search box.

বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া স্বপ্নদর্শীকে নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া স্বপ্নদর্শীকে নিয়ে কিছু কথা

ড. প্রণব কুমার পান্ডে

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনে জন্মেছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মূল স্থপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে যেমন বাঙালির ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক তেমনি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশ উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

পশ্চিম পাকিস্তানের নিষ্পেষণে নিষ্পেষিত পূর্ববাংলার বাঙালি জাতিকে যিনি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি অল্প বয়স থেকেই বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে লিপ্ত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন করেছিল পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে। স্বাধীনতা উত্তরকালে পশ্চিম পাকিস্তানিদের প্রেতাত্মা কিছু দালালরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত করতে দেয়নি।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাঁকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে পাকিস্তানপন্থী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছিল বাংলাদেশে। এই সময় আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করায় ভাগ্যচক্রে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুর কোনও রক্তকেই বাংলাদেশে জীবিত রাখতে চেয়েছিল না বিধায় মাত্র আট বছর বয়সী রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা কখনোই ধারণা করেনি যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা কোনও এক সময় দেশে ফিরে এসে সামরিক শাসনে নিষ্পেষিত আওয়ামী লীগ এবং বাঙালি জাতির হাল ধরবেন।

আওয়ামী লীগ যেন কখনোই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য ১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকার আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু দালাল সুবিধা ভোগের জন্য বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে খুনি খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল। আবার একই সাথে আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কিছু নেতা মোশতাক সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজেদের অবস্থানে অটল ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সামরিক শাসনে নিষ্পেষিত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে আশির দশকের শুরুর দিকে। সেই সময় দলকে সুসংগঠিত করার জন্য দলের নেতৃবৃন্দ যে মানুষটির শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সেই সময় তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন। তাঁর প্রবাস জীবনের অসহনীয় জ্বালাকে হৃদয়ে ধারণ করে পিতৃহারা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরার প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন। কারণ তিনি খুব কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছিলেন বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যুদ্ধ করতে। বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তান হিসেবে শেখ হাসিনার সাথে তাঁর পিতার এক ধরনের আত্মিক যোগাযোগ ছিল। তাঁর পিতার আদর্শ তাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করতো বিধায় দিশেহারা আওয়ামী লীগ এবং দিকভ্রান্ত বাঙালি জাতির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরেছিলেন।

দেশে ফিরে এসে তিনি একদিকে যেমন ভঙ্গুর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত করার জন্য যে সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল সেগুলো গ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলনের সামনে সামরিক সরকার মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রায় ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে এসে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিলেন। সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বেশ কিছু দৃষ্টান্তমূলক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। যখন দেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক সেই সময় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ে।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিন বদলের সনদকে’ সামনে রেখে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনা পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। গত সাড়ে তের বছরে তিনি শুধুমাত্র দেশের অর্থনীতিকেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হননি, সামাজিক এবং অন্যান্য সূচকেও দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা এবং দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাত্রাপথটি কখনোই নিষ্কণ্টক ছিল না। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করবার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনা শুধু ভাগ্যের জোরে এবং নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে থাকার কারণে বেঁচে যান। সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করে এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মী শরীরে স্প্লিন্টারের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে। সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল বিভিন্ন ধরনের নাটক মঞ্চায়ন করবার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে সত্য উদঘাটিত হয়েছে এবং তদন্তে বেরিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নগ্ন চিত্র। অন্যদিকে, ১/১১ সরকারের সময় বিরাজনীতিকরণের নামে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই সময়েও তিনি সরকারের কাছে মাথা নত করেননি। নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়। তাঁর দৃঢ় এবং এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি জনগণের ভাষা খুব ভালো ভাবে বোঝেন। আদর্শ নেতা হতে হলে একজন রাজনৈতিক নেতাকে জনগণের ভাষা বুঝতে হয় এবং জনগণের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকতে হয়– যেটি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল। পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ হাসিনা সব সময় চেষ্টা করেন কীভাবে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা করে চলেছেন।
২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক যখন সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন বাংলাদেশের নাগরিক এবং আওয়ামী লীগের নেতারা কল্পনাও করতে পারেনি যে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু তৈরি হতে পারে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেদিন দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশে পদ্মা সেতু তৈরি হবে নিজস্ব অর্থায়নে। তিনি সেটি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু এখন একটি বাস্তবতা। এই সেতু বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। পিতার মতো শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দেশ শাসন করা নেতৃত্বের মধ্যে অসততা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসের দিকে যদি আমরা তাকায় তাহলে দেখব কীভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা এই ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি এবং তাঁর নিকটতম পরিবারের সদস্যরা কোনোরকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েনি বিধায় বাংলাদেশের জনগণ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। তবে দুর্নীতি প্রতি জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করবার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ করোনা অতিমারির প্রভাব থেকে মোটামুটিভাবে মুক্ত থাকতে পেরেছে। এই অতিমারির প্রভাবে পৃথিবীর বড় বড় অর্থনীতির দেশ যখন অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য খাতের ঝুঁকি সামলাতে ব্যস্ত ছিল, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে জনগণ খুব বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অতিমারি চলাকালীন সরকার দরিদ্র জনগণের জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে, ঠিক তেমনিভাবে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার ওপরে ভর্তুকি প্রদান করেছে। আবার দেশের শতকরা প্রায় ৮০% জনগণকে করোনার টিকা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আর এই কারণেই দেশের সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বিধায় বাংলাদেশের জনগণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছে। এমনকি করোনা অতিমারি পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকার এখন পর্যন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশে কিছুটা মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে এবং সরকার তেলের দামের সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে। তবু অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সরকার এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সঠিকভাবেই মোকাবিলা করছে।
শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি সকলের কথা শোনেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজে গ্রহণ করেন–যেটি নেতৃত্বের একটি বড় গুণাবলি। মানুষের কথায় প্ররোচিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সেই সিদ্ধান্ত কখনোই সঠিক হয় না। তাঁর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখবে এবং বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর যে নিরলস প্রচেষ্টা, তা সমর্থন করবে। আপনাকে আবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন। আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।

লেখক: অধ্যাপক, লোক-প্রশাসন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ