স্পোর্টস রিপোর্টার – ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দুইদিনেই বিপদে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেট করে নেয়া বাংলাদেশের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ এত ভালো বোলিং করলেন, ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানেই অলআউট করে দিলেন, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দলকে বিপদে ফেলে দিলেন। ২৭১ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ফলোঅনে শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমদিনে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান করেছিল ভারত। শ্রেয়াস আইয়ার ৮২ রানে ব্যাট করছিলেন। দ্বিতীয়দিনে এরসঙ্গে আর হাতে থাকা ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করতে পারে ভারত। এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ১৩৩ রান করতে পারে। স্পিনার কুলদ্বীপ যাদব (৪/৩৩) ও মোহাম্মদ সিরাজের (৩/১৪) বোলিং দাপটে বিপত্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ২৮ রান করতে পারেন। কুলদ্বীপ যাদব ৪টি ও মোহাম্মেদ সিরাজ ৩টি উইকেট শিকার করে নেন।
শ্রেয়াস আইয়ার দ্বিতীয়দিনে আর ৪ রান করতেই আউট হয়ে যান। এরপর রবীচন্দ্রন অশি^ন (৫৮) ও কুলদ্বীপ যাদব (৪০) মিলে দলকে ৪০০ রানের কাছে নিয়ে যান। শ্রেয়াস দলের ২৯৩ রানে আউট হওয়ার পর অশি^ন ৩৮৫ ও যাদব ৩৯৩ রানে আউট হন। মাঝখানে অষ্টম উইকেটে ৮৭ রানে জুটি গড়ে ফেলেন অশি^ন ও যাদব। শ্রেয়াসকে এবাদত হোসেন আউট করলেও অশি^নকে মিরাজ ও যাদবকে তাইজুল আউট করেন। শেষপর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করতে পারে ভারত। যেখানে মনে করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দিন দ্রুতই অলআউট করা যাবে। কিন্তু তা হয়নি।
এরপর দিনের তৃতীয় সেশনের আগে ব্যাট হাতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরবেন কি, এক সেশনের কিছু বেশি সময়েই, ৪৪ ওভারেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩৩ রানের বেশি করতেও পারেনা। ১০২ রানের মধ্যেই নাজমুল হোসেন শান্ত (০), ইয়াসির আলী রাব্বি (৪), লিটন কুমার দাস (২৪), অভিষিক্ত জাকির হাসান (২০), সাকিব আল হাসান (৩), নুরুল হাসান সোহান (১৬), মুশফিকুর রহিম (২৮) ও তাইজুল ইসলাম (০) আউট হয়ে যান। এখন ব্যাটিংয়ে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ (১৬*) ও এবাদত হোসেন (১৩*)।
বাংলাদেশের ফলোঅন এড়াতে এখনও ৭২ রান লাগবে। হাতে আছে ২ উইকেট। তৃতীয়দিন সকালের সেশনে খেলতে হবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। মিরাজ, এবাদত ও খালেদ আহমেদ মিলে কী দলকে ফলোঅন থেকে বাঁচতে পারবেন? তৃতীয়দিন সকালেই তা বোঝা হয়ে যাবে হয়ত।