Search
Close this search box.

চট্টগ্রাম টেস্টে হারের মুখে বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টে হারের মুখে বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ – হাতে আছে দুইদিন। আছে ১০ উইকেটও। কিন্তু ভারত যে টার্গেট (৫১৩ রান) দিয়েছে, তাতে জয় পাওয়া যে কঠিন, তা সবারই বোঝা হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম টেস্টে হারের মুখে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। এখনও যে জিততে ৪৭১ রান লাগবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪০৪ রানে জবাবে যখন দ্বিতীয় দিনেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, তখনই আসলে বোঝা হয়ে যায়, অবিস্মরণীয় কিছু না ঘটলে ম্যাচ থেকে ছিটকেই পড়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন যখন ১৫০ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, ভারত থেকে প্রথম ইনিংসেই ২৫৪ রানে পিছিয়ে পড়ে, তখন ম্যাচ পুরোপুরিই ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। শুভমান গিল ৫ উইকেট শিকার করেন।

ফলোঅনে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশকে ফলোঅন না করে, আবার ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে, নিজেরাই আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ভারত। তখন বোঝা হয়, বড় টার্গেট সামনে দিয়ে, দ্বিতীয় টেস্টের আগে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোভাবে করে বাংলাদেশকে ডোবাতে চায়। তাই হয়।

শুভমান গিল (১১০) ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে বসেন। আর চেতশ^র পুজারা (১০২*) ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি করেন। দুইজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। আবার তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলিকে (১৯*) নিয়েও পুজারা অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটি গড়েন। প্রথম উইকেটেও লোকেশ রাহুল (২৩) ও শুভমান গিল মিলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। তিনটি জুটির মধ্যে যখন দুটি জুটিই ৭০ রান বা তার উপরে হয় আর একটি জুটি শতরানের হয়ে যায়, সেখানে রানের পাহাড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত আবার ২ উইকেটে ২৫৮ রান করতেই ইনিংস ঘোষনা করে দেয়। যেই পুজারার সেঞ্চুরি হয়ে যায়, ইনিংস ঘোষনা করে। তাতে করে বাংলাদেশের সামনে জিততে ৫১৩ রানের টার্গেট দাড় হয়।
এই টার্গেটে খেলতে নেমে তৃতীয়দিন শেষ সেশনে কোন উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২৫*) ও জাকির হাসান (১৭*) উইকেট আকড়ে থাকতে পেরেছেন। এখনও জিততে হলে বাংলাদেশকে ৪৭১ রান করতে হবে। তবে চতুর্থদিন সকালটা গুরুত্বপুর্ন। এই সেশনটি যদি ভালোভাবে কাটানো যায়, তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। কিন্তু এখনও খেলা দুইদিন বাকি আছে। আর এখানেই বাংলাদেশের বারোটা বাজছে। আবার ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনও সুস্থ নন। সাকিব তো দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংই করতে পারেননি। এবাদতও বোলিং করতে পারেননি। তারা ব্যাটিং করতে পারবেন কিনা অনিশ্চিত।

এরআগে বাংলাদেশ এক ইনিংসে ৬৩৮ রানও করেছে। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ভারতের বিপক্ষে ৪০০ রানও করেছে। ২০০০ সালে। কিন্তু শেষ অলআউট হওয়া ২২ ইনিংসে বাংলাদেশ ৫০০ রানের চেহারা দেখেনি। শেষ গতবছর পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৪১ রান করেছিল। টার্গেট অতিক্রম করতে গিয়ে তো বাংলাদেশ কখনোই ২১৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ভারতের বিপক্ষে টার্গেট অতিক্রম করতে গিয়ে তো কখনো জিতেইনি বাংলাদেশ। টেস্টে এখনও ভারতের বিপক্ষে কোন জয় নেই বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম টেস্টে অবিস্মরণীয়, অকল্পনীয় কিছু করা না গেলে হারই হতে পারে বাংলাদেশের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ