স্পোর্টস রিপোর্টার – বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিজের অবস্থা ধরে রাখতে পারছেনা। দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। এমনটিই জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় দলের বর্তমান টিম ডিরেক্টর ও বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএলের নবম আসর শুরু হবে শুক্রবার। এরআগে মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।
এই সময়ে তিনি খেলোয়াড় থাকলে বিপিএলের বদলে আইপিএলকেই বেছে নিতেন বলেও জানান সুজন। সুজন বলেন, আইপিএলের মতো তো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নেই। আমি খেলোয়াড় হলে আমিও এই টুর্নামেন্ট (বিপিএল) না খেলে ওই টুর্নামেন্টে যেতাম, এটা খুবই স্বাভাবিক। এটার কারণেই আমরা একটু পিছিয়ে যাচ্ছি। ভারতের সাথে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তারা বারবার বিপিএলকে বিশ্বের ‘দ্বিতীয় সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ’ হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু বিপিএলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ-২০ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ লিগ। বিগব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগগুলোতে এগিয়েই আছে। সেখানে বিপিএলে খেলা হচ্ছে অনেকটাই নামেমাত্র। দীর্ঘ মেয়াদী কোনো লক্ষ্য নেই। টি-টোয়েন্টি উপযোগী উইকেট নেই। সামান্য ডিআরএস প্রযুক্তিও নেই।
নামীদামী খেলোয়াড়রা বিপিএল ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ-২০ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ লিগকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ, সেসব জায়গায় পেশাদারিত্ব আর অর্থের পাশাপাশি আইপিএল দলের নজরে পড়ার সুযোগ আছে। সুজন বলেন, পেশাদারিত্বের দিক থেকে আমরা খুবই ভালো ছিলাম, আইপিএলের পরই আমরা ছিলাম। তবে এখন অনেকে ভালো করছে, আমাদের ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ড্রাফট থেকে যারা আসছে আমরা তেমন ভালো খেলোয়াড় পাইনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব আমিরাতের ঐ দুই টুর্নামেন্টে দলগুলো আইপিএল-কেন্দ্রিক। সবারই একটা লক্ষ্য থাকে আইপিএল খেলার। ওসব টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজরে পড়ার সুযোগ থাকে।