বৃহস্পতিবার, ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি নাগরিক

মিয়ানমারেরমিয়ানমারেরমিয়ানমারের

অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের আশায় দুবাই থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন কিছু বাংলাদেশি। কিন্তু তারা মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে যান। পাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ড নেওয়ার নাম করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট এলাকায় অবস্থিত বন্দি শিবিরে আটকে রাখে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে মিয়ানমারে আটক থাকা ১৯ বাংলাদেশিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে ওই বাংলাদেশিদের মুক্ত করা হয়। ইয়াঙ্গুন ও ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস একসঙ্গে কাজ করে তাদের উদ্ধার করে। মুক্তির পর তাদের থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং আজ রাতেই তাদের বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এসব বাংলাদেশি দুবাই থেকে থাইল্যান্ডে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। পাচারকারীরা তাদের লোভ দেখিয়ে থাইল্যান্ডের কথা বললেও পরে সীমান্তবর্তী মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে আটকে রাখে। মিয়ানমারে অবস্থিত এই বন্দি শিবিরগুলোর সংখ্যা প্রায় ৩০টির মতো।

সম্প্রতি থাইল্যান্ড-মিয়ানমার যৌথ বাহিনী এসব বন্দি শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে এবং অন্তত চার-পাঁচটি শিবির ধ্বংস করেছে। সাধারণত এসব ক্যাম্পে আইটি খাতের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে আনা হয়। পরে জোরপূর্বক কাজ করানো হয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। বন্দি শিবিরের বাইরে কারও বের হওয়ার সুযোগ থাকে না, ফলে তারা সেখানে অসহায় অবস্থায় আটকে পড়েন।

এই ঘটনা মানব পাচারের ভয়াবহতা ও প্রতারকদের চক্রান্ত সম্পর্কে নতুন করে সতর্কবার্তা দিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ