কুমিল্লার চান্দিনা অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে চান্দিনার ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত এই যানজট গড়ে ওঠে।
স্থানীয়দের মতে, দূরপাল্লার বাস ও মিনিবাস চালকদের যত্রতত্র পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামার ফলে প্রথমে খণ্ড খণ্ড যানজট তৈরি হয়। পরে তা চট্টগ্রামগামী লেনে গাড়ির দীর্ঘ সারিতে রূপ নেয়। ধীরে ধীরে যানজটের বিস্তার চান্দিনা থেকে মাধাইয়া হয়ে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছায়। ঢাকামুখী লেনেও কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল ধীরগতির হয়ে পড়ে।
আন্তঃজেলা বাসসহ কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার পরিবহন যেমন একতা পরিবহন, পাপিয়া পরিবহন, সততা পরিবহনের চালকরা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করেন। বিশেষ করে চান্দিনা এলাকায় বাসগুলো যাত্রী নিতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে, যার ফলে ধীরে ধীরে যানজট বাড়তে থাকে।
অতিরিক্ত গরমের কারণে যানজটে আটকা পড়া মানুষ আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। রোজার দিনে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, “রোজা রেখে এমন যানজটে আটকা পড়া খুবই কষ্টকর। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। আমরা যানজটমুক্ত একটি নিরাপদ মহাসড়ক চাই। প্রশাসনকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যত্রতত্র পার্কিং করা বাসগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে শুধুমাত্র পুলিশের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, এ ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।