Search
Close this search box.

নিম্নমুখী পাটের দামে হতাশ চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার: অনাবৃষ্টির কারণে মাগুরায় এবছর পাটের আবাদ ও জাগ দেয়ায় ব্যবহার করতে হয়েছে সেচ। তাই বেড়েছে উৎপাদন খরচ। কিন্তু সেই অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। তাদের দাবি, মনপ্রতি উৎপাদন খরচ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা হলেও বাজারমূল্য চলছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। এতে গুনতে হচ্ছে ব্যাপক লোকসান।

মাগুরা সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় হাটে পাট নিয়ে এসেছেন দূর-দূরান্তের চাষিরা। আশা ভালো দাম পাবেন। কিন্তু এখানে এসে হতাশ তারা। বলছেন, মানভেদে প্রতিমণ পাটের দাম পাচ্ছেন ২ হাজার ৫শ’ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩৫শ’ টাকার ওপর।

পাট ব্যবসায়ীরা জানান, পাট কিনছেন তারা কিন্তু এগুলো কোথায় বেচবে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। পাট কেউ কেনেন না। এছাড়া পাট উৎপাদনে তিন/চারটি সেচ লেগেছে। কিন্তু ফলন কম হয়েছে।

তাদের দাবি এবার মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় পাটের আবাদ ও জাগ দেয়ার সময় ব্যাবহার করতে হয়েছে সেচের পানি। এতে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।

পাট ব্যবসায়ী বলেন, জমিতে যে পরিমাণ পাট হয়েছে যা বিক্রিতে পাচ্ছি ১২ হাজার টাকা আর খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন মিল থেকে এখনও পাট কেনা শুরু হয়নি। আবার রপ্তানিও কমে গেছে। তাই নিম্নমুখী পাটের বাজার ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ভালো পানিতে জাগ না দেয়ায় নষ্ট হয়েছে পাটের গুণগত মান। তাই তৈরি হয়েছে সংকট।

মাগুরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াসিন আলী বলেন, গত বছর প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৫ টন সেখানে এই বছর একটু কমে ২ দশমিক ৪ টন উৎপাদন হয়েছে।

জেলায় এবার ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হতে পারে ৪ লাখ ৮৬ হাজার বেল পাট।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ