চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন কলেজ শিক্ষার্থী তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা মারা গেছেন। দুর্ঘটনার চার দিন পর, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন প্রেমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
গত ২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার মিরপুরের রফিকুল ইসলাম শামীম ও লুৎফুন নাহার সুমি দম্পতি, তাদের দুই মেয়ে আনীসা আক্তার (১৪) ও লিয়ানা (৮) এবং শামীমের ভাগ্নি তানিফা ইয়াসমিন প্রাণ হারান।
এই দুর্ঘটনায় শামীম-সুমি দম্পতির বড় মেয়ে তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবশেষে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনিও পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল শিশু আরাধ্য বিশ্বাস (৬) ও তার মামাতো ভাই দুর্জয় কুমার বিশ্বাস (১৮)।
আরাধ্যের বাবা দিলীপ বিশ্বাস ও মা সাধনা রানীও ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রেমার মৃত্যুর আগের দিন, ৩ এপ্রিল আরাধ্যকে ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে শিশু আরাধ্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
