স্টাফ রিপোর্টার: সরকার পতনের পর থেকে প্রবাসী আয় বাড়ছেই। ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী চার মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর নভেম্বরে এসেছে প্রায় ২২০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, নভেম্বর মাসে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি। গত চার মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোট ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।
এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। পরের মাস আগস্টে আসে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, অক্টোবরের ২৪০ কোটি ডলার এবং সবশেষ নভেম্বর মাসে এলো প্রায় ২২০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
এছাড়া গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।