আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং বিনিয়োগ বাড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা এখনও ৯ শতাংশের ওপরে, যা সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি দেশে বিনিয়োগ স্থবির, কর্মসংস্থানের হারও বাড়ছে না। এছাড়া রাজস্ব আদায়ও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯.৩২ শতাংশ হলেও তা এখনও উচ্চমাত্রায় রয়ে গেছে। এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা কম।
তবে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে—রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৩৯৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২.৭৭ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সমস্যা দূর না করলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে না।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা-সরবরাহ ভারসাম্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের গুদামে এসব পণ্যের এক-তৃতীয়াংশ মজুত রাখতে হবে, যাতে দরকারে বাজারে ছেড়ে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থানের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গ্রাম ও শহরে ১০০ দিনের গ্যারান্টি কর্মসংস্থান, নগদ সহায়তা ও ধনীদের ওপর সম্পদকর আরোপের প্রস্তাব দেন তিনি।
সব মিলিয়ে, এবারের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান তৈরির উদ্যোগই হবে সরকারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।