Search
Close this search box.

মানি লন্ডারিং মামলায় খালাস গিয়াসউদ্দিন আল মামুন

স্টাফ রিপোর্টার: মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী জানান, ২০১৯ সালে এই মামলার ফরমায়েশি রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের সাজা, ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড এবং ৬ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ টাকা বাজেয়াপ্ত করেন। এরইমধ্যে তিনি ওই সাজাও খেটেছেন। তবে স্বাধীন বিচারিক রায়ে ওই মামলায় তিনি আজ বেকসুর খালাস পেলেন।

২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডসের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পায়।

কিন্তু ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওই কাজের বিপরীতে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন। এরপর শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এছাড়া ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা ৪৪ হাজার ৬১০ দশমিক শূন্য ৮ ব্রিটিশ স্টার্লিং (বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা) বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মামুন। ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেফতার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ