‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে?’—মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তমা মির্জা

ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে

শেষ পর্যন্ত মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি মৃত্যুর কাছে হার মানল। চারটি হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায়, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে ৮ বছর বয়সী সেই শিশু।

শিশুটির মৃত্যুর পর নারীর নিরাপত্তা ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জোরদার হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠছে, যা তারকারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছেন।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন—

“ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে?”

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন—

“শোনেন, পশু ধরে রেখে দেয় না, মেরে ফেলে। আবর্জনা পরিষ্কার করতে হয়, রেখে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ-বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না।”

তিনি আরও বলেন—

“ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলুন, না পারলে সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দিন, কিন্তু বাঁচিয়ে রাখবেন না।”

গত ৬ মার্চ বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

গত শুক্রবার শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় তাকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার শিশুটি মারা যায়।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শিশুটির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ