মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ বেলা ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শিশুটির সকালে দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (আকস্মিকভাবে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছিল। তখন চিকিৎসকরা সিপিআর দিয়ে তার হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে এবার আর তার হৃৎস্পন্দন ফেরেনি, ফলে বেলা ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,
“অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ বেলা ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। সর্বাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
এই ঘটনায় শিশুটির মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবশেষে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
