যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসক গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক স্থল ও বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ার প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানোর দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় শুরু করা নতুন স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করতে বুধবার তারা ওই অঞ্চলের প্রধান উত্তর-দক্ষিণ পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় গত দুই দিনে ১৯০ জনেরও বেশি শিশুসহ মোট ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু বৃহস্পতিবার সকালে চালানো হামলাতেই প্রায় ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস বলেছে, ইসরায়েলের ‘‘গণহত্যার’’ প্রতিশোধ নিতে তারা তেল আবিব লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজেক্টাইল তারা প্রতিহত করেছে, আর দুটি জনবসতিহীন এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর মঙ্গলবার ভোরে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। রমজান মাসে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম বিশ্ব। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর কিছুটা শান্তি ফিরেছিল, তবে নতুন সমঝোতায় পৌঁছানোর জটিলতার মধ্যেই ইসরায়েল অতর্কিত হামলা শুরু করেছে।
গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসেইন এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি।’’
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছাকাছি সালাহেদ্দিন রোড ধরে অনেক ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
