স্পোর্টস রিপোর্টার : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অসাধারণ ব্যাটিং করছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার লিটন কুমার দাস। হাফসেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরির পথেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮১ রান করতেই ঘটে বিপত্তি। অসাধারণ ব্যাটিং করতে থাকা লিটন রান নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভব করেন। এরপর লিটনকে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান লিটন। তাতে করে জিম্বাবুয়ে সফর শেষ হয়ে যায় লিটনের। একই ম্যাচে চোট পান মুশফিকুর রহিম ও পেসার শরিফুল ইসলামও। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। এরমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ ও এবাদত হোসেনকে জিম্বাবুয়ে সফরে পাঠানো হচ্ছে।
মুশফিকুর রহিম ও শরিফুল ইসলামের চোট গুরুতর নয়
জিম্বাবুয়ে যাচ্ছেন নাঈম শেখ ও এবাদত হোসেন
প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ৩০৩ রান করেও হার হয়। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় দল যখন ১৭১ রানে থাকে তখন লিটন ইনজুরিতে পড়েন। মাঠের বাইরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যান করা হয়, যেখানে তার পেশীতে স্ট্রেন ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাথে থাকা ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা সানি বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘লিটন দাসের ডান পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের একটি স্ক্যান করেছি এবং রিপোর্টে গ্রেড-টু পেশী স্ট্রেন ধরা পড়েছে। এ ধরনের আঘাত থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। ফলে জিম্বাবুয়ে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো তাকে আমরা আর পাব না এ নিশ্চিত। আগামী কয়েকদিন আমরা তাকে পর্যবেক্ষণ করবো এবং তাকে পুনর্বাসন পরিকল্পনার মধ্যে রাখা হবে।’
লিটন ছিটকে যাওয়ার ম্যাচে মুশফিক ও শরিফুলও চোট পান। শঙ্কার কিছু নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা সানি। মুশফিককে নিয়ে ফিজিও বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় মুশফিক ভাইও বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তবে এটা খুব বড় কিছু মনে হচ্ছে না। আশা করি পরের ম্যাচে তাকে পাব।’ শরিফুলের চোট নিয়ে জানান, ‘শরিফুল তাৎক্ষনিক আঘাতের কারণে কিছুটা অবশ অনুভব করছিল। আশা করি দ্রুতই ভালো কোনো খবর দিতে পারব।’
সিরিজ থেকে লিটন ছিটকে পড়ায় নাঈম শেখকে দ্রুত জিম্বাবুয়ে পাঠাচ্ছে বিসিবি। লিটনের জায়গায় নাঈম দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতেও পারেন। কিন্তু এবাদতকেও জিম্বাবুয়ে পাঠানো নিয়ে আছে ভাবনা। শরিফুল যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে পারবেন না, তার ইঙ্গিতই যেন মিলছে। শরিফুলও যে ভালই চোট পেয়েছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে।