স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শোক প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার (হাসান আরিফ) আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি একজন শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং দেশের একজন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালনসহ তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে কয়েক দশকব্যাপী জনসেবাকেও গভীর শ্রদ্ধা জানান ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং তার আইনি সক্রিয়তা এবং ভিন্নমতাবলম্বী এবং আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, হাসান আরিফের মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এ ছাড়া হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অনেকেই শোক জানিয়েছেন।
এর আগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শুক্রবার বিকেলে হাসান আরিফকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে তাকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, হাসান আরিফ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।