স্টাফ রিপোর্টার : গ্যাসের অভাবে কারখানা বন্ধ থাকলেও দেশে সারের সংকট হবে না বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সংকট হবে না এ জন্য যে, আমাদের কয়েকটা দেশের সঙ্গে যেমন-সৌদি আরব, কাতার এদের সঙ্গে ভালো চুক্তি আছে। টাকা-পয়সার ক্ষতি (ভর্তুকি) হবে, তবে সারের সংকট হবে না।
. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বিকল্প উৎস থেকে সার আনার চেষ্টা করছি। যাতে যমুনা ফার্টিলাইজার ও চট্টগ্রাম ফার্টিলাইজার- দুটোকেই ফাংশনাল করা যায়। এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। যদি গ্যাস না দেয় তাহলে কী হবে? বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে আমরা বলি যে শিল্প কারখানায় তো দিতেই হবে। কিন্তু সার কারখানা বন্ধ হলে…সারটা কিসে লাগছে? খাদ্য উৎপাদনে। তখন আমরা খাদ্য কোথায় পাবো? এতে বিরাট ক্ষতি হবে। মূল্যটা আমাদের অনেক বেশি দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা লোকালি (স্থানীয়ভাবে) যে ইউরিয়া উৎপাদন করি এটার দাম ১৯ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে এটার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এরপরও আমরা সরকারকে এখনও ১৬ টাকায় ইউরিয়া দিচ্ছি। পৃথিবীর কোনো দেশই এটা দিতে পারবে না। ভারত তো পারেই না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা পটাশিয়াম, ফসফরাস, বিওপি আগামী বোরো মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত মজুদ করেছি। কোনো সমস্যা নেই। ইউরিয়ায় একটু শঙ্কিত এ জন্য যে গ্যাসের জন্য স্থানীয় উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। কিন্তু আমরা এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে আমাদের বিকল্প উৎস থেকে আনতে হবে। আমাদের খরচটা বেশি হবে। কিন্তু যে স্টক (মজুত) আছে তাতে এখনও সংকটের কথা চিন্তা করছি না।
তিনি বলেন, ইউরিয়ার জন্য এখন আমাদের দৌড়াতে হবে। তবে ইউরিয়ার সুবিধা হলো যে এটা অনেক দেশই উৎপাদন করে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা ভারত না মানতেও পারে। তারা এগুলো কেয়ার করে না। কিন্তু আমাদের গার্মেন্টসের একটি বড় অংশ যায় আমেরিকায়। কালকেই তো আমাদের ওপর একটা ইয়ে (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে দেবে। আমরা কি সেটা টলারেট (সহ্য) করতে পারবো? আমাদের তো সেই ইয়ে (সক্ষমতা) নাই। এটা বাস্তবতা। আপনাকে তো ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। সার বা তেলের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত না।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেচ নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। আগামী মৌসুমে দেখা যাক। আমরা আশা করি যুদ্ধ বন্ধ হবে। আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে, আমাদের সেচ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।