Search
Close this search box.

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করবে আ. লীগ – কৃষিমন্ত্রী

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করবে আ. লীগ - কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালাবেন না। শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা চায় না বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র হোক। তারা চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলন করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে হবে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনই ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচন হবে। আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার করবে বিএনপি এ ধরনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। হুমকিতে ভয় পায় না আওয়ামী লীগ।

এরআগে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নেই। দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন খাদ্যশষ্য মজুত রয়েছে। মাত্র দুমাস পরেই আমন ধান কাটা শুরু হবে। ফলে দেশে দুর্ভিক্ষের কোনো আশঙ্কা নেই।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও শোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তাই তিনি কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্তদেরকে সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন। এই সম্মাননার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিখাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কৃষকদরদী নীতি ও প্রধানমন্ত্রীর চির অবারিত হাত কৃষিকে করেছে আরও সুসংহত। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে আগ্রহী জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেওয়ায় কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ