স্টাফ রিপোর্টার : ডি-৮ সম্মেলনে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংগঠনটির ২৫ তম অধিবেশন ও বর্ষপূর্তি এ অনুষ্ঠানে সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, মিশর, তুরষ্ক এর প্রতিনিধিরা অংশ নেবে। ড. মোমেন বলেন, ডি-৮ সম্মেলনে বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। সম-রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কীভাবে ইন্ট্রা ট্রেড বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করা যায় কি না, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। আশা করি, আমরা পিটিএ ইপ্লিমেন্ট বাড়াতে পারব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হবে। এ বিষয়ে খুব জোর দেওয়া হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে। এটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এটা এখন বৈশ্বিক ইস্যু। আমরা ক্লাইমেট রেজুলেশন্সের ওপর জোর দেব। ট্যুরিজম সেক্টর নিয়েও আলোচনা হবে, যদিও এ সেক্টরে আমরা ম্যাচিউরড না।
এবারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে মোমেন বলেন, এ বছরটা ডি-৮ এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২৫তম বছরপূর্তি এবার। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজারবাইজান সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। ওদের গ্রহণ করা হবে কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে, ডিসিশন হবে। ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের স্থায়ী প্রতিনিধি করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। নাইজেরিয়া কর্তৃক ডি-৮ ইয়ুথ কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, এনার্জি সেক্টর ইদানিং আলোচিত ইস্যু। এনার্জি সিকিউরিটি সব সম্মেলনে আলোচনা হচ্ছে। এ সেক্টরে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি, সেটার চেষ্টা আমরা করছি। আমাদের বক্তব্য এটা থাকবে। এটা এখন হট টকিং। অন্যান্য রাষ্ট্রও মনে হয় এটা নিয়ে আলোচনা করবে।
খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আমাদের দেশবাসীকে বলেছি। আর সম্প্রতি আমরা ফুডের বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছি। ডি-৮ সম্মেলনে আমাদের আলোচনার সাবজেক্ট এটি। তবে অন্যরা কী করবে, সেটা বলতে পারছি না। খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা যথেষ্ট কাজ করছি। আমরা কনট্যাক্ট ফার্মিং বিষয়ে কাজ করছি।